ব্লগ লেখার গুনগতমান উন্নত করার কিছু টেকনিক

বর্তমান বিশ্বের আন্তর্জাতিক মানের মার্কেটাররা ব্যবসায়ের প্রচার এবং পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য ব্লগ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু ব্লগ লেখা এবং তা মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় করা মোটেও সহজ সাধ্য নয়। লেখকের লেখনির মাধ্যমে একজন ভিজিটর নিয়ে আসা এবং তাদের ক্রেতা হিসেবে পরিণত করা খুব কঠিন একটি কাজ কিন্তু এই কঠিন কাজ বাস্তবায়ন করতে হলে কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল বা ব্লগ লিখতে হয়, তাহলে কিছুটা সাফল্য পাওয়া যায়। কিছু দিকনির্দেশনা মেনে চলতে পারলে আপনার পক্ষেও একটি গুনগত মান সম্পন্ন ব্লগ লেখা সম্ভব। আজ আপনাদের শেখাবো কিভাবে ব্লগের কোন কোন দিকে বেশি নজর দিয়ে ব্লগ লিখতে হয়।

অন্যের ব্লগ বেশি বেশি পড়ুনঃ
আপনি যদি ব্লগে নতুন হয়ে থাকেন তবে যাহারা পুরাতন ব্লগার আছেন তাদের লেখা ব্লগ গুলি বেশি বেশি পড়তে পারেন। এ ক্ষেত্রে ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে আপনার বিচক্ষনতা বাড়বে। আপনি আপনি সহজেই ব্লগ লেখার একটা সুন্দর ধারন পেয়ে যাবেন।

ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেনঃ
আপনি আপনার ব্লগ লেখার মানউন্নয়েনের জন্য ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন। আপনি ভালো ইউটিবারদের ইউটিউব ভিডিও গুলো বেশী বেশী দেখতে পারেন। এতে আপনার ব্লগ লেখার দক্ষতা বাড়বে।

 এক্সপার্টের কাছ থেকে শিখুনঃ
ব্লগ লেখা একটি দীর্ঘ মেয়াদী কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে সফলতা পেতে হলে এই বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন এর বিকল্প নাই। ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে সফল হতে দক্ষতা নিজস্ব কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। নিজেকে অন্য ব্লগার থেকে আলাদাভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। এরজন্য প্রথমে শিখতে হবে। আর শেখার জন্য অবশ্যই কোন এক্সপার্ট এর নিকট যেতে হবে। একজন এক্সপার্টের কাছ থেকে শিখুন কিভাবে ব্লগ লেখতে হয়, একটি আর্টিকেল কিভাবে তুলে ধরলে ভিজিটর পছন্দ করে, কোন কোন বিষয়ের উপর লিখতে হয়, কিভাবে ভিজিটরের ইন্টারেস্ট অনুযায়ী আর্টিকেল লিখতে হয়, কিভাবে ভিজিটর ধরে রাখতে হয় ইত্যাদি।

রিসার্চ করুনঃ
একটি ব্লগ পোষ্ট তখন সফল হয় যখন সেই পোষ্ট ভিজিটরের কাছে বিশ্বাসযোগ্য এবং অথরেটিভ মনে হয়। আর পোষ্ট বিশ্বাসযোগ্য এবং অথরেটিভ করতে হলে কন্টেন্ট লেখার সময় কিছু বিষয়ের উপর জোর দিতে হয়। যেমনঃ বিভিন্ন স্ট্রেটেজি, উক্তি বা কোন বই অথবা এক্সপার্টের রেফারেন্স কন্টেন্টে ব্যবহার করার হলে সেই কন্টেন্টের গ্রহনযোগতা অনেক গুন বেড়ে যায়। এই বিষয় গুলো একটি ব্লগে  তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক বেশি রিসার্চ করতে হবে। রিসার্চ ছাড়া ভিজিটরের বিশ্বাস বৃদ্ধি করার উপাদান খুঁজে

ক্রেতার সিদ্ধান্তের গ্রহণের মানসিকতা নিয়ে চিন্তা করুনঃ
একটি ব্লগের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে ভিজিটরকে ক্রেতায় পরিণত করা। কিন্তু  একজন ভিজিটরকে বললেই তো আর আপনার পন্য কিনবেন না। ভিজিটরকে ক্রেতাতে পরিণত করা মোটেও কোন সহজ কাজ নয়। আপনার ব্লগ লেখার মাধ্যমেই ভিজিটরকে ক্রেতায় পরিণত করতে হবে। সেজন্য লেখার পূর্বে ক্রেতার মানসিকতা বুঝতে হবে। কোন ধরণের শব্দ ব্যবহার করলে ভিজিটরের ক্রয় করার ইচ্ছা জন্মাবে, কখন Call to Action ব্যবহার করলে ক্রেতার ক্রয়ের সিদ্বান্তে প্রভাব ফেলা হয় ইত্যাদি।অর্থাৎ আপনার লেখা এমন হতে হবে যাতে ভিজিটর মনমুগ্ধ হয়ে ক্রেতায় পরিনত হয়।

পাওয়া যাবে না। এছাড়া খুজে বের করুন, কন্টেন্টে কোন ধরণের উদাহরণ দিলে কন্টেন্ট আরও শক্তিশালী হবে। এমন কিছু উদাহরণ দিয়ে কন্টেন্টের বিভিন্ন বিষয় বুঝিয়ে দিন।

একটি ব্লগ ইউনিক শিরোনাম দিনঃ
অবশ্যই শিরোনামটি ইউনিক হতে হবে এবং হেডলাইনটি কোন একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে লিখতে হবে। এছাড়া শিরোনাম  এমন হতে হবে যেন এটা ভিজিটরের কোন একটি প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করছে।

ব্লগের হেডলাইনে জোর দিনঃ
হেডলাইন একটি কন্টেন্টের সবচেয়ে গুরুত্তপূর্ন  অংশ। কেউ যদি একটি আর্টিকেলের আকর্ষনীয় হেডলাইন লিখে তাহলে সেই আর্টিকেলের উপর ভিজিটর আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুন। আপনার আর্টিকেল যেকোন বিষয়ের উপর হোক না কেন হেডলাইনের কারণে ভিজিটর আর্টিকেলটি পড়া শুরু করবে। তাই ভালো লাডলাইন লেখার দিকে নজর দিন। প্রয়োজনে বেশি সময় নিয়ে আকর্ষনীয় হেডলাইন লিখুন।
  
শুরুটা ভালো করুনঃ
একটি আর্টিকেল ভিজিটরের মন জয় করার জন্য অবশ্যই শুরুটা ভালো হতে হয়। আর্টিকেলের শুরুতে যদি এমন কোন তথ্য দিতে পারেন যার মাধ্যমে একজন ভিজিটর পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য প্রভাবিত হয় তাহলেই আর্টকেল সফল হবে। সেজন্য আর্টিকেলের শুরুতে বিশেষ করে প্রথম বাক্যটি এঙ্গেজিং এবং শর্ট লেখার চেষ্টা করুন। গুরুত্বপূর্ন তথ্য দেয়ার মাধ্যমে আর্টিকেলের প্রথম অংশগুলো ভিজিটরকে আকৃষ্ট করুন। বলা হয় আপনি যদি প্রথম অংশটুকু ঠিক ভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি অর্ধেক যুদ্ধ জয় করে ফেলেছেন। তারমানে প্রথমে দর্শনদারী তারপরে গুন বিচারী।
  
গ্রামার এবং বানান ভুল থেকে সাবধান হোনঃ
গ্রামার এবং বানান ভুল একটি আর্টিকেলকে ব্যর্থ আর্টিকেলে পরিনত করতে পারে। কারণ ধরণের আর্টিকেল ভিজিটর এর চোখে দৃষ্টিকটু আর্টিকেল হিসেবে পরিণত হয়। এটি ভিজিটরের কাছে ব্লগের প্রোফেশনালিজম কমিয়ে দিবে। মানুষ সবসময় অন্যের ভুল ধরতে স্বচ্ছন্দ  বোধ করে এবং অন্যের ভুল সহজেই চোখে পরে। আপনি যদি আর্টিকেল লিখতে গিয়ে অল্প ভুল করেন তা ভিজিটরের কাছে বড় হয়ে দেখা দিবে এবং তার মনের মধ্য নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হবে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বানান ভুল এবং গ্রামারের ভুল কনভার্শন কমিয়ে দেয়। গ্রামারের ক্ষেত্রে আপনি কিছু টুলস ব্যবহার করতে পারেন এবং বানানের জন্য আর্টিকেল পাবলিশ করার পূর্বে কয়েকবার পড়ুন।

মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ

www.facebook.com/mhabib42

No comments:

Post a Comment

Pages