রোহিঙ্গা মৃত নারী বাংলাদেশে ধর্ষন।


কিছুদিন যাবৎ  একটি বিষয় নিয়ে লিখবো ভাবছি কিন্তু সময়ের অভাবে হচ্ছে না। যাই হোক এবার একটি গল্প দিয়ে শুরু করা যাক।

এক লোক গ্রামের পথ ধরে যাচ্ছিল যেতে যেতে পথি মধ্যে দেখতে পেল একটি কুকুর অভুক্ত অবস্থায় মারা যাচ্ছিল। তখন সে দাড়িয়ে পড়ল। এবং কুকুরটির কিছু ছবি এবং ভিডিও করতে ছিল ও কাঁদতে ছিল। তখন ওই একই পথ ধরে বিপরীত দিক থেকে এক ভদ্র লোক যাচ্ছিলেন। তো তিনি প্রথম জনের কান্না দেখে একটু থমকে দাড়ালেন এবং পাশে এসে দাড়ালেন।

দ্বিতীয় লোকটি প্রথম জনের ভাবগতি অবলোকন করলেন এবং তার দেখাদেখি তিনিও কাঁদতে লাগলেন। কিছুক্ষন পর দ্বিতীয় লোকটি প্রথম জনকে জিজ্ঞেস করলেন যে, ভাই আসলে ঘটনাটা কি?

প্রথম জন উত্তর দিলেন আপনি এখনো বুঝতে পারছেন না? দেখতে পাচ্ছেন না কুকুরটি না খেয়ে মরে যাচ্ছে।এই দুঃখে আমি কাদতেছি। দ্বিতীয় লোকটি একটু কষ্ট পেল আর ভাবলো আহ লোকটির দিলে কত মায়া। শত হোক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি একটি কুকুর এভাবে  অভুক্ত অবস্থায় মারা যাচ্ছে।

দ্বিতীয় লোকটি ভাবতে লাগলো কি করা যায়? একটু এদিক সেদিক তাকিয়ে সে দেখতে পেল প্রথম জনের মাথায় একটি পোটলা আছে তখন সে প্রথম জনকে জিজ্ঞেস করলো ভাই আপনার পোটলার মধ্যে কি আছে?
প্রথম জন স্বাভাবিক ভাবে উত্তর দিলো ভাই কিছু হালুয়া আর রুটি আছে।

দ্বিতীয় লোকটি বললো তা ভাই ওই খান থেকে একটু হালুয়া আর রুটি দিলেই তো কুকুর টা বাঁচে।
প্রথমজন উত্তর দিলো আরে ভাই এই ওয়াজ আমাকে শুনিয়ো না। হালুয়া আর রুটি দিলে তো আমার টাকা খরচ হবে কিন্তু কাঁদতেছি এই ছবি ফেসবুকে দিতেছে তার জন্য তো আর আমার টাকা পয়সা খরচ হচ্ছে না।

এবার আসি মূল কাহিনীতে ফেসবুক খুললে এখন দেখা যায় রোহিঙ্গা নারীদের নগ্ন / অর্ধ নগ্ন নারীদের ছবির ছড়াছড়ি। কিছু ছবি আসল আবার কিছু ছবি নেট থেকে সংগৃহীত। এই সকল ছবির সব যে মায়ানমারের তা কিন্তু না। তার থেকে বড় কথা হচ্ছে এই নারীদের হত্যা করার আগে ধর্ষন করা হয়েছে। এখন আবার সেই নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে তাদের আবার ধর্ষন করা হচ্ছে।

যারা বা যাহার এই ছবি প্রতিনিয়ত শেয়ার করতেছেন তাদের আসলে নারীর নগ্ন শরীরের প্রতি একটু বেশী চুলকানী তাই এই ছবির নগ্ন অংশ এডিট না করেই তারা ছড়িয়ে দিচ্ছেন সোসাল মিডিয়াতে। ফলে একজন নারী মৃত্যুর পরও অসংখ বার ধর্ষিত হচ্ছেন।

কি লাভ হবে এই নগ্ন ছবি ছড়িয়ে। কি সমাধান করতে পারবেন যারা এই ছবি ভাইরাল করতেছেন? যারা এই কাজ করতেছেন তাদের মধ্যে ৯৮ভাগ আইডিতে একবার ও দেখলাম না যে তারা জীবীত অভুক্ত রোহিঙ্গাদের জন্য কোন ছবি পোস্ট করছেন। 

আসুন আমরা জীবিতদের পাশে দাড়াই তাদের সাহায্য করি। যারা সাহায্য দিচ্ছেন তাদের সহায়তা করি। তাদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে পোস্ট করি।

গল্পের প্রথম ব্যাক্তির মতো ফ্রিতে মায়া কান্না আর কতো করবেন। নিজে সচেতন হোন অন্যকে সচেতন করুন। ধন্যবাদ
আমার পোস্ট এর মাধ্যমে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।


No comments:

Post a Comment

Pages